A+
A-

শারীরিক শিক্ষা | নবম-দশম শ্রেণী | অধ্যায়-১০ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর-০১

শারীরিক শিক্ষা | নবম-দশম শ্রেণী | অধ্যায়-১০ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর-০১

∎ প্রশ্ন ০১: রঞ্জু বন্ধুদের সাথে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে সমুদ্রে ডুবে যায়। একটু পরে ভেসে উঠে। তখন বন্ধুরা তাকে উপরে উঠিয়ে নিয়ে আসে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করার জন্য মুখে মুখে শ্বাস গ্রহণ করে এবং পেট থেকে পানি বের করার জন্য মুখ ও গলা পরিষ্কার করে দেয়। শেষ পর্যন্ত রঞ্জু সুস্থ হয়ে উঠে।

ক. ইমপ্যাক্টেড কী? 
খ. কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর। 
গ. রঞ্জুর শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত মুখে মুখ পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা কর। 
ঘ. 'মুখ ও গলা পরিষ্কার করাতেই রঞ্জু সুস্থ হয়'-এ বক্তব্যটির সাথে কি তুমি একমত- তোমার বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি দাও।

➲ ১নং প্রশ্নের উত্তর 

ক. ইমপ্যাক্টেড হলো এক প্রকার হাড় ভাঙ্গা যেখানে হাড়ের ভাঙ্গা প্রান্তদ্বয় পরস্পর সংবিদ্ধ হয়ে পড়ে।

খ. রোগীর শ্বাস ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেছে বা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে তখন যে কৌশল প্রয়োগ করে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু করতে হয় তাকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস বলে। কৃত্রিম শ্বাসক্রিয়া যন্ত্র বা হাতের সাহায্যে দেওয়া যায়। হাত দ্বারা কৃত্রিম শ্বাস দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো রোগীর ফুসফুসকে মিনিটে ১০ থেকে ১২ বার ছোট ও বড় করানো। কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস দেওয়ার কয়েকটি প্রচলিত পদ্ধতি আছে। বহুল প্রচলিত পদ্ধতিগুলো হলো-
  • সেফার পদ্ধতি 
  • সিলভেস্টার পদ্ধতি 
  • হোলজার নেলসন পদ্ধতি 
  • মুখে মুখ পদ্ধতি

গ. রঞ্জু কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে সমুদ্রে ডুবে যাওয়ার একটু পর ভেসে উঠলে তার বন্ধুরা তাকে উপরে নিয়ে আসে এবং তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করার জন্য মুখে মুখ লাগানো পদ্ধতিটি ব্যবহার করে। নিচে পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা করা হলো : 
কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাসের একটি সহজ পদ্ধতি হলো মুখে মুখ লাগানো পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ফুসফুসে বাতাস ঢোকানো যায়। এ পদ্ধতি খুবই সহজ ও পরিশ্রমও কম। অল্প বয়স্করাও সহজে এ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবে। রঞ্জুর বন্ধু রঞ্জুর মুখের ভিতরের ময়লা পরিষ্কার করে, এক হাত দিয়ে তার মাথা চেপে ধরে, অপর হাত দিয়ে নিম্ন চোয়াল ধরে মুখ ফাঁক করে তার বন্ধু শ্বাস পুরো গ্রহণ করে রঞ্জুর মুখ ঠোঁট দিয়ে আটকে ধরে বাতাস ঢোকায়। এভাবে ১০-১২ বার বুক ফুলানোর ব্যবস্থা নেয়।

ঘ. রঞ্জু বন্ধুদের সাথে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে সমুদ্রে ডুবে যাওয়ার একটু পর ভেসে উঠলে তার বন্ধুরা তাকে উপরে নিয়ে আসে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করার জন্য মুখে মুখ লাগানো পদ্ধতি ব্যবহার করে এবং পেট থেকে পানি বের করার জন্য মুখ ও গলা পরিষ্কার করে। এর ফলে সাথে সাথেই তার শ্বাস-প্রশ্বাস চালু হয়নি এবং তার পেট থেকে পেটের অতিরিক্ত পানিও বের হয়নি। আর দ্রুত পেটের অতিরিক্ত পানি বের না হলে শ্বাসনালিতে পানি ঢুকে শ্বাস- প্রশ্বাস ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া দূষিত পানি যেকোনো ধরনের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তাই শুধু মুখ ও গলা পরিষ্কার করলেই একজন পানিতে ডোবা ব্যক্তি সুস্থ হয় না। পানিতে ডোবা ব্যক্তির সুস্থতার জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস চালুর সাথে সাথে তার পেটের অতিরিক্ত পানিও বের করতে হয়। এছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে যত দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া উচিত। তাই বলা যায় যে, মুখ ও গলা পরিষ্কার করতেই রঞ্জু সুস্থ হয়নি। সে সুস্থ হয়েছে তার শ্বাস-প্রশ্বাস চালু এবং পেট থেকে অতিরিক্ত পানি বের হওয়ার পর।

Comments

Previous Post Next Post